আসন্ন ঈদুল আজহা উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদে উদযাপনের জন্য মাঠপর্যায়ের সব পুলিশ কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভায় আইজিপি বলেন, ঈদুল আজহার সময় মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌপুলিশসহ সব বিশেষায়িত ইউনিট সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। বিশেষ করে কোরবানির পশু পরিবহন নির্বিঘ্ন করা, পশু জোরপূর্বক এক হাট থেকে অন্য হাটে নেওয়া বন্ধ করা, হাইওয়ের পাশে পশুর হাট বসানো রোধ করা, জাল টাকা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, মার্কেট ও শপিং মলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত। মাঠপর্যায়ের যে কোনো পুলিশি কার্যক্রম যেন ঝুঁকিমুক্ত হয়, সেই বিবেচনায় অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। টহল কার্যক্রম বা সশস্ত্র অপরাধী, চরমপন্থি ও বিদ্রোহপ্রবণ (ইনসারজেন্সি) এলাকায় পুলিশের প্রয়োজন অনুযায়ী অস্ত্র বহন অবশ্যই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর ‘নতুন বাংলাদেশে’ পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এটি শুধু জনশৃঙ্খলা রক্ষায়, বিশেষ করে মিছিল-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণে প্রযোজ্য। মিছিল-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণে জীবনবিধ্বংসী (লিথাল আর্মস) মারণাস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ ছাড়া যে সব লাইসেন্সধারী সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।