নানান কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় সারা দেশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশে-বিদেশে দিবসটি পালন করা হয়। শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তাঁর মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর দলের প্রতিষ্ঠাতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি এবং তাদের যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দলই চায় ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। প্রধান উপদেষ্টা কেন বিএনপিকে নির্বাচন নিয়ে দোষারোপ করেছেন, তা বোধগম্য নয়। ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। গতকাল দুপুরে হাই কোর্টের মাজারগেটে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে তবারক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতির মধ্যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে এবং জাতির প্রত্যাশার ওপর আমরা আমাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি প্রতিচ্ছবি বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম হয়েছিল এ দেশের স্বাধীনতার জন্য। জিয়াউর রহমানকে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে গেছেন। এ দেশের গণতন্ত্র ও অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, আমরা এই রাষ্ট্রে একটি গণতান্ত্রিক ভিত্তিস্থাপন করব, সাংবিধানিক কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করব, এ দেশকে একটি সামাজিক সুবিচারভিত্তিক বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে পরিণত করব। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।