ব্যবধানটা খুব বেশি নয়। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১৮৩। সিঙ্গাপুরের অবস্থান ১৬১। এ ব্যবধান হামজা-সামিত-ফাহামিদুলদের নিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। দর্শকদের মধ্যে ছিল দারুণ উন্মাদনা। তারা প্রাণভরে সমর্থন করেছেন দলকে। ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে মাঠে হাজির হয়েছেন। যে মাঠ একসময় মরুভূমির শূন্যতা নিয়ে পড়ে থাকত সেই মাঠেই ছিল গগনবিদারী গর্জন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ব্যবধান দূর করা গেল না। ২-১ গোলের পরাজয় নিয়ে বাড়ি ফিরল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের দর্শকরা। স্বপ্নভঙ্গ হলো তাদের।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশ আগ্রাসি ফুটবল খেলেছে গতকাল। রাকিব বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েছেন প্রথমার্ধেই। বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। মাঝখানে তারিক কাজীর ইনজুরি কিছু সময়ের জন্য দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল। তিনি ফিরেছেন মাঠে। তবে ডিফেন্স সামলে রাখতে পারেননি। ডিফেন্স আর গোলরক্ষকের ভুলে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে গোল হজম করে বাংলাদেশ। ৪৫ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে সিঙ্গাপুর লম্বা থ্রো ইন করে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসে বলের লাগাল পেলেও পুরোপুরি গ্রিপ করতে পারেননি। জর্ডান এমবইয়ের হেডে বল পান হারিস স্টুয়ার্ট। তার বাড়ানো বল বাংলাদেশের জালে ঠেলে দেন সং উই ইয়ান। মিতুল মারমা গোলপোস্টে ফিরতে ব্যর্থ হওয়ায় গোল পেয়ে যায় সিঙ্গাপুর। শেষ মুহূর্তে হামজা গোল বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিলেন। তবে ততক্ষণে গোল হয়ে গেছে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও বেশ বাজে ছিল বাংলাদেশের জন্য। ৫৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে শামি হাইসিনের জোরালো শট ঠেকিয়েই দিয়েছিলেন মিতুল মারমা। সেখান থেকে রিবাউন্ডে আসা বলটা জালে পাঠান ইখসান ফান্দি। বাংলাদেশ একটা গোল শোধ করে ৬৭ মিনিটে। একাধিক সুযোগ নষ্টের প্রায়শ্চিত্ত করেন রাকিব। অ্যাসিস্ট করেছেন হামজা চৌধুরী। তার থ্রু পাসেই বল ধরে গোল করেন রাকিব। ম্যাচের বাকি সময় দুর্দান্ত সব আক্রমণ করে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটা কর্ণারও আদায় করে নেয়। তবে সমতায় ফেরা হয়নি বাংলাদেশের। কোচ কাবরেরা কথা দিয়েও রাখতে পারেননি।