চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর গণসংযোগে গুলি করে সরোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীসহ সাতজনের নামোল্লেখ করে ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলাটিতে। সরোয়ারের বাবা আবদুল কাদের গতকাল নগরীর বায়েজীদ থানায় এ মামলা করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
এদিকে গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্র্থী এরশাদ উল্লাহ শঙ্কামুক্ত হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। তার একান্ত সচিব আরিফ মুন্না জানান, এরশাদ উল্লাহ এখন শঙ্কামুক্ত। পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। সরোয়ার বাবলার বাবার করা মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সাজ্জাদ আলী বাহিনীর কিলিং স্কোয়াডের প্রধান হিসেবে পরিচিত রায়হান আলম এবং বোরহান উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, মোবারক হোসেন ওরফে ইমন ও হেলাল ওরফে মাছ হেলাল। তার মধ্যে আলাউদ্দিন ও হেলালকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। র্যাব জানায়, গতকাল সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার হাজীরপুল এলাকা থেকে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী বাহিনীর সদস্য আলাউদ্দিন ও হেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার এজাহারে সরোয়ারের বাবা অভিযোগ করেন, পলাতক সাজ্জাদ আলী দীর্ঘদিন ধরে সরোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। ২ নভেম্বর সরোয়ারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’। এরপর ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া সরোয়ারকে সরাসরি পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাজ্জাদের নির্দেশে তার অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।