গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চরশিবা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ওঠে, নির্বাচনি কৌশল হিসেবে এ আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। একপর্যায়ে তারা হাসান মামুনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে চরশিবায় গণঅধিকার পরিষদ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সংঘর্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ইলিয়াস রাঢ়ি, সবুজ রাঢ়ি, নূরন্নবী রাঢ়ি, হাসান রাঢ়ি, কুদ্দুস ব্যাপারী, ইয়াকুব রাঢ়ি, ওমর রাঢ়ি, রাহান রাঢ়ি ও সলেমান রাঢ়ি আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের আহতদের মধ্যে রয়েছেন যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল খলিফা, আজমির খলিফা, শাহাবুল খলিফা, আমেনা বেগম, নাঈম খলিফা ও নবীন খলিফা। আহত কয়েকজনকে গলাচিপা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুব অধিকার পরিষদের সহসভাপতি ও নুরুল হক নুরের ভাই আমিনুল ইসলাম নুর বলেন, চর কপালবেড়ায় আমাদের ওয়ার্ড কমিটি গঠন উপলক্ষে সভা চলছিল।
অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে ৭ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে মিছিল হয়। মিছিল শেষে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
আহত বিএনপি কর্মী ইলিয়াস রাঢ়ি সাংবাদিকদের জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। এমন সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। গলাচিপা থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।