বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যে তরুণরা দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পর্বতসমান হস্তীকে দেশ থেকে তাড়িয়েছে, তারাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। গতকাল বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচিত প্রতিনিধি সংবর্ধনা-২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সংবর্ধনায় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেতাদের সম্মান জানানো হয়। এ অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দামের পরিচালনায় শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিরাসহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ডা. শফিকুর বলেন, অতীতের কলুষিত ছাত্ররাজনীতিতে দেখা গেছে, নির্বাচিত ছাত্র সংসদ সদস্যরা ভূমিকা পালন না করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত হয় বা অসৎ উপায়ে টাকা আয় করত। এ ধারা বদলাতে হবে। তিনি বর্তমান ছাত্র সংসদগুলোতে সততার পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ দেখতে চান এবং এতে এক ভাগও ফেল মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলের প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচিত ছাত্রনেতাদের গণ্ডি কেবল ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ থাকবে না; তারা জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্বে সামনে থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের প্রতি জাতির অনেক পাওনা আছে তারা তা ফেরত দেবে বলে আশা রাখি। জামায়াত আমির বলেন, তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে গড়বে তার রিহার্সেল হচ্ছে ছাত্র সংসদের মাধ্যমে। তিনি ছাত্র সংসদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার অব একাডেমিক এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রধান দায়িত্বশীল দলে পরিণত করতে বলেন এবং গবেষণা সংস্কৃতি ফেরাতে তাগিদ দিয়েছেন।
ছাত্র সংসদ নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। তোমাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে চাই। দেশের ককপিটে তোমাদের বসাতে চাই। তোমরা ককপিটে বসে দেশ পরিচালনা করবে। পেছন থেকে আমরা তোমাদের জন্য দোয়া করব; শক্তি জোগাব। ভুল করলে কানে কানে তোমাদের বলে সংশোধন করাব। কথা না শুনলে হাতে ধরে বকা দেব। যদি তাও না শোনো তাহলে সম্মানের সঙ্গে আসন থেকে জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তোমাদের সরিয়ে দেব। রাগ করো না। তোমাদের সেভাবেই প্রস্তুত হতে হবে। তিনি আরও বলেন, তোমরা পারবে, পেরেছো। একটা হস্তিকে তোমরা এই সমাজ থেকে তাড়াতে পেরেছো। তোমাদের নেতৃত্বে সেটা সফল হয়েছে। তোমাদের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।