বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জটিলতায় ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

জটিলতায় ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল

ময়মনসিংহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে প্রকল্প চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার বছর আগে প্রকল্পটি উদ্বোধন করলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতায় কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ময়মনসিংহের মানুষকে উপহার দিয়েছেন। এ প্রকল্পের চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের চররামমোহন মৌজায় জেগে ওঠা বালুচরে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার কথা। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মামলার জটিলতায় আলোর মুখ দেখছে না প্রকল্পটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চররামমোহন মৌজার ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা চর ময়মনসিংহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা হয়। ২০১৬ সালের ১৬ মে ৪৮৭ দশমিক ৭৭ একর জমি (৪৫৪ দশমিক ৮৪ একর বন্দোবস্ত এবং ৩২ দশমিক ৯৩ একর অধিগ্রহণ) প্রস্তাব করা হয়। ওই বছরের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৩৩ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য অনুমোদনও দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের আগস্টে বেজার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জায়গাটি পরিদর্শন করেন। তখন কিছু জমি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে যাওয়ায় নতুন করে প্রস্তাবনা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছুদিন পরে ৪৯২ দশমিক ৩৬ একর নিয়ে নতুন করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-২ থেকে ২০২০ সালের মার্চে এক চিঠিতে জানানো হয়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চররামমোহন মৌজায় ৪২৪ একর খাসজমি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলেও তা নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। এসব জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সুযোগ নেই।

সূত্রমতে, প্রায় পাঁচ দশক আগে জেগে ওঠা চরের জমির মালিকানা দাবি করে স্থানীয়রা ১৩টি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর আর কোনো দিন আদালতে যাননি তারা। এমনকি মামলার বিষয়ে খোঁজও রাখেন না। কিন্তু ‘নামকাওয়াস্তে’ করা এসব মামলার কারণে এখনো থমকে আছে এ প্রকল্প। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথমে প্রায় ৪৮৮ একর জমি নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চাইলেও নানা জটিলতার কারণে তৃতীয়বারের মতো জমির পরিমাণ কমিয়ে ২০০ একরের প্রস্তাব দিয়ে আবারও প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুটি মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল। বাকি মামলাগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য নেই আমাদের কাছে।  তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০০ একর জমি নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিকল্প প্রস্তাব চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নতুন করে নির্বাচিত স্থানে বালু ফেলে স্থানটি উঁচু করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর