আগামী ১ জানুয়ারি পর্দা উঠছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-ডিআইটিএফ ২০২৩ এর। পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু-চায়না বাংলাদেশ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিতব্য মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্যমেলার আয়োজনের সব প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। মেলাস্থলে চলছে শেষ সময়ের কাজ। মেলা প্রাঙ্গণে চলছে সাজ সাজ রব।
এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন- এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মেলায় বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। এবারের আয়োজন ভালো। করোনা সংকট কাটিয়ে এবারের বাণিজ্যমেলা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। কারণ দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে বাণিজ্যমেলার অবদান অনেক। এদিকে মনোযোগ দিতে হবে। মেলাস্থলে দর্শক, ক্রেতা বিক্রেতাদের যাবতীয় সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে। ভেন্যুটি নতুন হওয়ায় এর কিছুটা প্রচারণাও প্রয়োজন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ১৯৯৫ সাল থেকে এ মেলার আয়োজন করে আসছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবার দ্বিতীয়বারের মতো বাণিজ্যমেলা পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় যাতায়াতের জন্য কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত মূল সড়কের (৩০০ ফিট) প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ চার লেনে যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা হচ্ছে। গত বছরের মতো এবারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিআরটিসির ডাবল ডেকার ৩০টি লাল বাস। যেগুলো কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত চলাচল করবে।
ইপিবি সূত্র জানিয়েছে, বাণিজ্যমেলায় ৩০৯টি স্টলের জায়গা রয়েছে। তবে এবারও বসছে দেশি-বিদেশি ২২৫টি স্টল। মেলা কেন্দ্রের লেআউটে কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। এ কারণেই কেন্দ্রের ভিতরে-বাইরে মিলে আপাতত ২২৫টি স্টল করা হয়েছে। মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কর্তৃপক্ষ ভিতরে ১৫৪টি স্টল বানিয়েছে। আর বাইরে থাকছে ৭১টি স্টল।