বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাটপণ্য রপ্তানিতে মন্দা

রাশেদ হোসাইন

পাটপণ্য রপ্তানিতে মন্দা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়েছে দেশের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতেও। একই সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তির অভাবে  রপ্তানিকারকরা সরাসরি পাট পণ্যের বিশ্ব বাজারও ধরতে পারছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান বলছে, গেল বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৮৫ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন ডলারের পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম। একই সময়ে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০০ মিলিয়ন ডলার। ২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরেও ৫৯০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিশ্ব মন্দায় পাটপণ্য রপ্তানি কমে গেছে। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত কাঁচা পাট রপ্তানি হয়। দেশের পাট ও বস্ত্র কলগুলো ৬০-৭০ বছরের পুরনো। বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর পাটকল হলে বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের রপ্তানিও বৃদ্ধি পেত। পাটশিল্প উন্নয়নে দেশে উন্নত মানের বীজ উৎপাদন করা প্রয়োজন। এ ছাড়া পাটের বাজার স্থিতিশীল রেখে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে পাট উৎপাদন বাড়বে। উৎপাদন বাড়লে রপ্তানি বাড়বে, বিদেশি ক্রেতারাও পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যে ফিরে আসবে। এ ছাড়া পাটশিল্পের উন্নয়নে পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের বর্ষপণ্য বা ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাট ২০২১-২২ অর্থবছরে ১১২৭.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হয়েছে। এর আগের বছর ২০২০-২১ এ ১১৬১.৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হয়। এতে দেখা যায় প্রতিবছর পাট রপ্তানি নিম্নমুখী হচ্ছে। ২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি কমেছে। আর গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এ বছরের ডিসেম্বরে ১০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমেছে।  এ নিম্নমুখীর মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত নভেম্বরের ইপিবির তথ্য মতে দেখা যায়, কাঁচা পাট ও পাটজাত দ্রব্য খাতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০৬.৬০ মিলিয়ন   মার্কিন ডলার যা বিগত বছরের একই সময়ের ৪৫৬.৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় অপেক্ষা ১১.০০% কম। উক্ত সময়ের মোট রপ্তানিতে এ খাতের অবদান ১.৮৫%।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর