দিল্লির মেডিকেল শিক্ষার্থী জ্যোতি সিং ধর্ষণ হত্যা মামলার তরুণ ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে করা একটি সংগঠনের আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি কমিশন ফর উইম্যান [ডিসিডাব্লিউ] ওই আবেদনটি করেছিল। আবেদনের উপর আজ শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
ভারতজুড়ে প্রবল বিরোধিতার মধ্যেই সরকারি হোমের নজরদারি থেকে গতকাল মুক্তি পায় দিল্লির আলোচিত ওই ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত এক নাবালক। গতকাল বিকালে সরকারি হোম থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পরই ওই নাবালক ধর্ষককে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আপাতত তাদের তত্ত্বাবধানেই আছে ওই নাবালক। তবে মুক্তি পেলেও ওই ধর্ষকের প্রতিটি গতিবিধির ওপর নজর রাখবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন জ্যোতি সিং [২৩] নামে ওই মেডিকেল শিক্ষার্থী। প্রায় ১৩ দিন জীবনের জন্য লড়াই করে ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসটির চালকসহ ৬ ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে রাম সিং নামে একজন তিহার জেলে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বাকি ৫ জনের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ ৩ বছরের সাজা দেন সংশ্লিষ্ট আদালত। ওই নাবালক ধর্ষকই গতকাল সাজা শেষে মুক্তি পেয়েছে। ধর্ষণের সময় তার বয়স ১৬ বছর হলেও এখন সে সাবালক। তাই তার মুক্তির বিরোধিতা করে আসছিল জ্যোতি সিংয়ের পরিবারসহ দেশটির বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
বিডি-প্রতিদিন/২১ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ