হাই–প্রোফাইল মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব হারানোর পর আরও এক ধাক্কা খেলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এবার তাকে বাদ দেওয়া হল কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক কমিটি থেকে। ওই কমিটিতে স্মৃতি ছিলেন বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য। স্মৃতির জায়গায় ওই কমিটিতে স্থায়ী সদস্য করে নেওয়া হয়েছে বর্তমান মানবসম্পদ বিকাশমন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকরকে। এর আগে জাওড়েকর ওই কমিটির বিশেষ আংন্ত্রিত সদস্য ছিলেন।
স্মৃতির সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিভিন্ন কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়াও। গৌড়া ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সংসদীয় ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাকে আইন মন্ত্রণালয় থেকে দক্ষতা উন্নয়ণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর গৌড়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই দুটি কমিটি থেকেই। তার জায়গায় ওই কমিটিতে এসেছেন বর্তমান আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিভিন্ন কমিটিতে সবচেয়ে লাভবান হয়েছেন বর্তমান সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অনন্ত কুমার। তিনি বর্তমানে চার–চারটি কমিটিতে রয়েছেন। অনন্ত কুমারকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আবাস বিষয়ক কমিটির সদস্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি রয়েছেন সংসদ বিষয়ক কমিটিতেও। বাদ গেছেন রাজীবপ্রতাপ রুডি। তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সংসদীয় বিষয়ক কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য। রুডিকে এবার এই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাকে নতুন কোন কমিটিতে নেওয়া হয়নি। তবে এই রদবদলে বিজেপি–র সঙ্গী দলগুলির মন্ত্রীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
শিবসেনার অনন্ত গীতে, অকালি দলের হরসিমরত সিং বাদল এবং রামবিলাস পাসোয়ান বিভিন্ন কমিটিতে তাদের জায়গা ধরে রেখেছেন। তবে নিয়োগ কমিটিতে নতুন কাউকে নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনেকেই আশা করেছিলেন যে নিয়োগ কমিটির সদস্য সংখ্যা যেহেতু দু'জন মাত্র, তাই মোদি হয়তো এই কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন। কিন্তু ওই কমিটিতে মোদি এবং রাজনাথ ছাড়া আর কারওকেই সদস্য করা হয়নি। এমনকি অরুণ জেটলিকেও নয়।
সূত্র: দৈনিক আজকাল
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব