ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়ার নগ্ন ছবি প্রকাশ নিয়ে আলোচনার রেশ কাটার আগেই উঠে গেছে আরও একটি বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, আমেরিকায় ‘গ্রিন কার্ড’ পেতে ট্রাম্পের আগে তিনি অন্য কাউকে বিয়ে করেছিলেন কি না, তা নিয়ে। সেই জল্পনায় ইন্ধন জুগিয়েছে মেলানিয়ার পরিচিত এক আইনজীবী। সেই সঙ্গে স্লোভেনিয়ার প্রাক্তন মডেল মেলানিয়া বৈধ অনুমতি নিয়ে আমেরিকায় গিয়েছিলেন কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক!
২০০৫ সালের ২২ জুন ফ্লরিডায় ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ে হয় মেলানিয়ার। সেই বছর একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পপত্নী জানিয়েছিলেন, সেটাই তার প্রথম বিবাহ। কিন্তু সম্প্রতি মাইকেল ওয়াইল্ডস নামে এক আইনজীবী দাবি করেছেন, বিবাহের ভিত্তিতেই ২০০১ সালে ‘গ্রিন কার্ড’ পেয়েছিলেন মেলানিয়া। তার কথায়, ‘‘২০০৬ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়েছেন মেলানিয়া। তার আগে বিবাহের ভিত্তিতে গ্রিন কার্ড পেয়েছিলেন তিনি।’’
উল্লেখ্য, ওই আইনজীবী আমেরিকায় মূলত অভিবাসীদের জন্যই কাজ করেন। অতীতে তিনি ট্রাম্পের সংস্থা ‘ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে’র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ওই সংস্থার বিদেশি মডেলদের জন্য ভিসা এবং ‘গ্রিন কার্ডে’র ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তার উপরেই।
মেলানিয়ার বিয়ে সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য ওয়াইল্ডই ট্রাম্পের সংস্থার কাছে জানতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছে আমেরিকার একটি টেলিভিশন চ্যানেল। এ সম্পর্কে ওই আইনজীবীর উক্তি, ‘‘এখনও ওরা কিছু জানায়নি। দুঃখিত।’’
ঘটনাচক্রে ওই আইনজীবী রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টনের সমর্থক। সেই জায়গা থেকেই কি তিনি ট্রাম্পপত্নী সম্পর্কে এমন ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য করেছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ওয়াইল্ড অবশ্য বলেছেন, ‘‘যতদূর জানি, ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ের আগে মেলানিয়ার আমেরিকায় কাজ করার ভিসা ছিল। উনি কখনও ভিসার নিয়ম ভাঙেননি বলেও শুনেছি।’’ তাতে অবশ্য জল্পনা থামছে না।
পাশাপাশি, তার নগ্ন ছবির সূত্রেও এই অভিযোগ পুষ্ট হচ্ছে মেলানিয়ার বিরুদ্ধে। ওই ছবিগুলি আমেরিকায় তোলা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। কিন্তু মেলানিয়ার দাবি তিনি আমেরিকায় গিয়েছেন তার পরের বছর। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কী ওই ছবি তোলার সময়ে তিনি সেদেশে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মডেল হিসাবে কাজ করেছেন। মেলানিয়া অবশ্য এ প্রসঙ্গে টুইট করেছেন, ‘১৯৯৬ সাল থেকে আমার অভিবাসী স্ট্যাটাস নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি, আমি বরাবরই এদেশের অভিবাসন আইন মেনে চলেছি’।
আমেরিকার রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মেলানিয়ার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে আমেরিকায় থেকে কাজ করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে ধাক্কা খেতে পারেন ট্রাম্প। কারণ, তার নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম প্রসঙ্গ বেআইনি অভিবাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি। ক্ষমতায় এলে আমেরিকা থেকে প্রতিটি অবৈধ অভিবাসীকে বার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে আমেরিকা এবং মেক্সিকোর মধ্যে দেওয়াল তোলার কথাও বলেছেন!
সূত্র: এবেলা
বিডি প্রতিদিন/৭ আগষ্ট ২০১৬/হিমেল-০৫