নিজের জন্মদিনে চোখ বন্ধ করে বদ্ধ কেবিনে শুয়ে ছিল ছোট্ট এজমি। কোনো উপহারই সেদিন এজমির বাবা তার হাতে তুলে দিতে পারেননি। তারপর মনে মনে ঠিক করে ফেলেন, মেয়ের জন্মদিনের উপহারে জীবন ফিরিয়ে দেবেন মেয়েকে। পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে পিতার কিডনি প্রতিস্থাপিত হলো মেয়ের শরীরে।
পৃথিবীটাকে যখন একটু একটু করে চিনতে শুরু করেছে, তখনই কিডনি বিকল হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ছোট্ট এজমি। কিডনি নষ্ট হবার পর একটানা ১৪ মাস ডায়ালেসিসের মধ্যে ছিল শিশুটি। এরপর শরীর আরও অবনতি হতে থাকে তার। ডায়ালেসিস চলাকালীন স্ট্রোক হয় তিন বছরের এই ফুটফুটে শিশুর। কোনো উপায় না পেয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কে দেবেন কিডনি। তিন বছরের এজমির মা ও বাবা দু'জনেই কিডনি দেবেন বলে ঠিক করেন। পরীক্ষার পর এজমির বাবা লির কিডনি এজমিকে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টারের ৩৭ বছর বয়সী বাবা লি, তার ৩ বছরের সন্তান এজমিকে কিডনি দান করেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ