কাশ্মীরের পর এবার জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হল মুম্বাইতে। নবি মুম্বাই, থানে, রায়গড় উপকূলে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বাণিজ্যনগরীর বেশ কিছু এলাকায় জোর অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মুম্বাইয়ের কাছে উরন নৌ বন্দরের কাছাকাছি ৫ জন ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেছে বলে দাবি করে দুই স্কুল শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, পাঁচজন ব্যক্তিকে তারা বন্দুক হাতে ঘোরাফেরা করতে দেখে। তাদের প্রত্যেকেরই মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল, সারা শরীরও ছিল কালো পোশাকে ঢাকা। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় স্থানীয় থানায়। নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। ওই যুবকরা কী কারণে কেন ঘোরাঘুরি করছিল, সে বিষয়েও খোঁজ চলছে। দুই স্কুল শিক্ষার্থীর বয়ানের সত্যতাও যাচাই করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি সতীশ মাথুর জানান, স্থানীয় ইউইএস স্কুলের দুই শিক্ষার্থীই ৫-৬ জন সন্দেহজনক যুবককে নৌবহিনীর ঘাঁটির কাছাকাছি দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। তার ভিত্তিতেই আমরা উরন বন্দর এলাকা সহ গোটা মহারাষ্ট্রে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একাধিক নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকে তদন্তে নামানো হয়েছে।
ইতোমধ্যেই নৌবাহিনীকে সতর্কতা করা হয়েছে। জঙ্গিরা যাতে সমুদ্রপথে হামলা চালাতে না পারে, তার জন্য সব জায়গায় অভিযান শুরু করা হয়েছে। নৌ বাহিনীর তরফে বাণিজ্যনগরীর সর্বত্র সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে খবর। মুম্বাইজুড়ে অভিযান শুরু করেছে জঙ্গি দমন শাখা (এটিএস)। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গাতেও চলছে জোর অভিযান। আকাশপথেও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভিযান চালানো হচ্ছে।
মুম্বাই শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উরন শহর। একাধিক কারণে এই শহর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ভারতীয নৌবাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। রয়েছে জওহরলাল নেহেরু বন্দর। উরনের পাশেই রয়েছে নবি মুম্বাইয়ে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার। স্বাভাবিক কারণেই এই এলাকায় জঙ্গি হামলা হলে তার প্রভাব পড়বে গোটা এলাকায়।
এদিকে, জঙ্গি হানার আশঙ্কার জেরে কলকাতা শহর জুড়েও জোর অভিযান শুরু হয়েছে। বিমাবন্দর, শপিং মল, নবান্ন, হাইকোর্ট, খিদিরপুর বন্দর সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ