স্বাধীনতার প্রশ্নে আবারো গণভোট আয়োজনের ক্ষমতা চেয়ে চিঠি দিয়েছে স্কটল্যান্ড। ব্রিটেন যখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক তখনই এ আবেদন করলো দেশটি। অবশ্য ব্রিটিশ সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে, এ ধরনের গণভোট আয়োজনের জন্য এখনই উপযুক্ত সময় নয়।
স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন যুক্তি তুলে ধরে বলেন, বেক্সিটের ভোটের জেরে স্কটল্যান্ডের জনগণেরও সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ থাকা উচিত যে, তারা কোন পথে যাবে। গণভোট আয়োজনের অনুমতি চাওয়ার প্রস্তাবটি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে স্কটিশ পার্লামেন্ট অনুমোদন দিয়েছে।
আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে ওই গণভোট আয়োজনের অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও এই সময় নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে বলে আভাস দিয়েছেন স্টারজন। তবে ব্রিটিশ সরকার এর মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে, এ ধরনের গণভোট আয়োজন করতে হলে, বেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেন, গণভোটের জন্য এখন উপযুক্ত সময় না। যখন বেক্সিটের সব শর্ত পরিষ্কার হয়ে যাবে, স্কটল্যান্ডের জনগণও তখন সবকিছু বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
সাংবিধানিক ব্যাপারগুলো যেহেতু ওয়েস্টমিনিস্টারের এখতিয়ারে, তাই এ ধরনের গণভোট আয়োজনের জন্য স্কটিশ সরকারকে ক্ষমতা দিতে হবে। যেভাবে ২০১৪ সালে প্রথম গণভোট আয়োজনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল।
স্টারজন বলেন, তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হলে, এপ্রিলে পার্লামেন্ট বসার পরই তার সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন।
২০১৪ সালের গণভোটে ৫৫-৪৫ শতাংশ ভোটে যুক্তরাজ্যে থাকার পক্ষে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল স্কটিশরা। যদিও বেক্সিটের গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দিয়েছিল বেশিরভাগ স্কটিশ। সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ