বিশ্বে ক্রমশ বাড়ছে আধিপত্যের লড়াই। পরমাণু শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আমেরিকার মতো মহাশক্তিদের আজ চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ক্ষুদ্র উত্তর কোরিয়াও। মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে আফ্রিকার অজানা দেশ, সর্বত্রই অস্থির অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৈরি সুযোগসন্ধানী বেশ কিছু দেশ। তার মধ্যে রয়েছে চীন ও পাকিস্তান। সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের দ্রুত অগ্রগতিতে বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ হাতছাড়া করে না দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তবে ১৯৬১ ও ১৯৯৯ থেকে শিক্ষা নিয়েছে ভারত। শান্তির জন্য শক্তির প্রয়োজন, সেটা বুঝেছে নয়াদিল্লি। তাই এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে তুলছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
যুদ্ধ শুরু হলে, শত্রুপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে এবার ভারতীয় সেনার হাতে আসতে যাচ্ছে ‘বজ্র’ নামের কামান। সেনা সূত্রে খবর, এক বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কামান তৈরি করবে ভারতীয় সংস্থা L&T। এরকম ১০০টি ‘বজ্র’ কামান ৪,২০০ কোটি টাকার বিনিময়ে কিনবে সেনাবাহিনী। আগামী তিনবছরের মধ্যে সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে এই কামানগুলি। প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পাল্লা পর্যন্ত গোলাবর্ষণ করতে পারে ‘K-9 Vajra-T’ বা ‘বজ্র’। ১৫৫ এমএম ও ৫২ ক্যালিবারের এই কামানকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়না। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, ট্যাঙ্কের মতো এই কামান যে কোনো জায়গায় যেতে পারে। ২০১৫ সালেই ১৫৫ এমএম-এর বেশ কয়েকটি কামানের মূল্যায়ন করে সেনা। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয় বজ্র’কে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে আমেরিকার কাছ থেকে ১৪৫টি আলট্রা-লাইট কামান কেনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ভারত।
সেনা সূত্রে খবর, ২০২৭ সলের মধ্যে প্রায় ২৮০০টি কামান কিনছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতায় অশনি সঙ্কেত দেখছে ভারত। সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে একই সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে সেনা। সম্প্রতি, পাকিস্তান সীমান্তে ইজরায়েল থেকে কেনা ‘স্পাইডার’ মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে ভারত। এছাড়াও, ভারত মহাসাগরে চীনা রণতরীর আনাগোনায় শঙ্কিত দিল্লি আমেরিকা, ভিয়েতনাম ও জাপানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে চলছে।
বিডি প্রতিদিন/১ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল