জয়ললিতার সব কিছুই নকল করতেন শশীকলা। জয়ললিতার মতো করে শাড়ি পরতেন। হিল তোলা জুতো পরতেন। আম্মার মতোই তর্জনী আর মধ্যমা দিয়ে ‘ভি’ দেখাতেন। কিন্তু মস্ত একটা ফাঁক থেকে গিয়েছিল। জয়ললিতা দারুণ ইংরাজি বলতেন, যা শশীকলা একেবারেই পারেন না। তাঁর যাবতীয় কথোপকথন তামিলেই। ইংরাজি ঠিকঠাক পড়তেও পারেন না। জেলের মধ্যে তামিল খবরের কাগজ পড়েই তাঁর দিন কাটছে।
এবার তাঁর ইচ্ছে হয়েছে, তিনি ইংরাজি শিখবেন। জেল কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁকে যেন ইংরাজি টিউটর দেওয়া হয়, তিনি ‘স্পোকেন ইংলিশ’ শিখতে চান। সেই সংক্রান্ত বইও যেন দেওয়া হয়।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ও নানারকম দুর্নীতির মামলায় চার বছরের জেল হয়েছে শশীর। আপাতত তিনি বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলে বন্দী। সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতেন তামিলনাড়ুর রাজনীতি। তাঁর ইশারাতেই চলত মন্ত্রিসভা। কিন্তু তামিল রাজনীতিতে হঠাৎ পট পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন নিজের দলেই যেন ব্রাত্য শশী। প্রশ্ন হল, এই বয়সে এসে ইংরাজি শিখতে চাইছেন কেন? রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, ছাড়া পেয়েও নিজেকে সক্রিয় রাখতে চান। তিনি বুঝেছেন, ইংরাজি না শিখলে কোনও গুরুত্ব পাওয়া যাবে না। তাই নিজেকে নতুন করে তৈরি করতে চাইছেন তিনি। সূত্র: আজকাল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার