ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর থেকেই শরণার্থী নীতিতে শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীরা ছুটছে কানাডার দিকে। তারই ধারাবাতিকতায়, গত মার্চে অবৈধভাবে কানাডায় প্রবেশ করায় সময় যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সীমান্ত থেকে আটক করা হয় ৮৮৭ জন শরণার্থীকে। যার পরিমাণ গত জানুয়ারি মাসের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে কানাডার কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৮৬০ জনকে আটক করে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কানাডার পরিসংখ্যান বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন শুষ্ক মৌসুমে শরণার্থীর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
শরণার্থীর ভিড় জমানোর কারণ হিসেবে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের শরণার্থী বিরোধী প্রচারণার ফলেই এই চাপ। এ বিষয়ে কানাডার নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী রালফ গোদেলি গত বুধবার তার কার্যালয়ে বলেন, অধিকাংশ অভিবাসীরাই যুক্তরাষ্ট্রের অনিয়মিত ছিল এবং তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রার্থী ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগে এত সংখ্যক উদ্বাস্তু এবং শরণার্থীর চাপ ছিল না। এছাড়া, গত ছয় বছরের তুলনায় মার্চে অতীতের সকল রেকর্ড পার করেছে বলেও মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, আশ্রয়প্রার্থী শরনার্থীদেরকে মধ্যে তিন চতুর্থাংশের মতো আটক করার পর তাদেরকে কুইবেকের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বেশকিছু শরনার্থীদেরকে চ্যাম্পলিন ও হ্যমিংফোর্ডে রাখা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৭/ওয়াসিফ