ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ এরই মধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের ১৯ তারিখ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে জমজমাট লড়াই। তারা হলেন-ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও আরেক প্রার্থী ইব্রাহিম রাইসি। দুজনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন।
যদিও আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১ হাজার ৬০০ এর বেশি ব্যক্তি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী পরিষদ ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’ মাত্র ৬ জনকে প্রার্থী হিসেবে যোগ্য বলে বিবেচনা করেছে। বাদ পড়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদও।
হেভিওয়েট প্রার্থী ইব্রাহিম রাইসি দেশটির সাবেক বিচারপতি। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। প্রার্থী হিসেবে খামেনির সমর্থনও পেয়েছেন। কাজেই আসছে নির্বাচনে ভোটারদের মন জয়ে এ সমর্থন তার জন্য বাড়তি শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
অন্যদিকে হাসান রুহানি উদারপন্থী হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। ২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসেন। তিনি এমন এক সময় দায়িত্ব নেন যখন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপে দেশটির অর্থনীতি ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। রাজনৈতিকভাবে একটি বিচ্ছিন্ন দেশ হিসেবে ধীরে ধীরে পরিচিতি পাচ্ছে।
উদারপন্থী রুহানির নেতৃত্বে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় ইরান। পারমাণবিক ইসস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ বিশ্ব শক্তির সঙ্গে চুক্তি করতে সক্ষম হয়। উঠে যায় নিষেধাজ্ঞা, ফিরে আসতে শুরু করে বিদেশি বিনিয়োগ ও অর্থনীতির গতি।
এখন আঞ্চলিক ও বিশ্ব রাজনীতিতেও ভূমিকা রাখছে ইরান। গত ৪ বছরের মেয়াদকালে দেশের সামগ্রিক গতি ফেরাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখাই রুহানির সবচে বড় অবদান বিবেচনা করা হয়। এ ভাবমূর্তির কারণে তিনি ভোটারদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। এবারের নির্বাচনে এটা তার জন্য বাড়তি পাওনা হিসেবে কাজ করবে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৭/ ই জাহান