১৯৬২-র যুদ্ধে চীন যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি বেশকিছু তথ্য তুলে ধরছেন বাগদাদের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত আর এস কালহা। বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, ৬২-র যুদ্ধে চীন ছিল আগ্রাসনকারী। আর তার দাবি স্বপক্ষে তিনি বেশকয়েকটি ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছেন কালহা। দেখা নেওয়া যাক সেই তথ্যগুলি-
১. এখানে প্রথমেই একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, কে এই যুদ্ধ প্রথম শুরু করে? কালহার দাবি চীনই প্রথম ভারতের উপর আক্রমণ করে। কিন্তু চীন দাবি করে, ভারতের আগ্রাসন নীতির জবাব দিতেই চীন যুদ্ধ শুরু করে। এই বিষয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কালহা লিখেছেন, ভারতকে নাকি শিক্ষা দিতে চেয়েছিল চীন। চীন যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, সেই বিষয়টি নিয়ে যথাযোগ্য প্রমাণও আছে বেশ কিছু নথিপত্রে। সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরেই এই যুদ্ধের সূত্রপাত।
২. ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেই সময় ভারতে উপস্থিত ছিলেন না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, জাতিসংঘের একটি সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য। আর জওহরলাল নেহরু ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করার জন্য। সেখান খেকে ফিরে ফের কলম্বোর উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এমনকি লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাউলও সেই সময় ভারতে ছিলেন না। আর সেই সুযোগেই চীন একেবারেই পরিকল্পনা করেই ভারতে আক্রমণ করে।
৩. ভারত-চীন যুদ্ধের সময় বিমানবাহিনীর ব্যবহার করেনি ভারত। এটি অন্যতম একটি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জেরে চীনের কাছে ভারত পরাস্ত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মত, বিমানবাহিনীর ব্যবহার না করাই ভারতের চীনের কাছে পরাস্ত হওয়ার অন্যতম মূল কারণ।
৪. ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহেরু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যুদ্ধের জন্য সাহায্য চান। এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে জেট ফাইটারের জন্য সাহায্যও চেয়েছিলেন৷ ভারত-চীন যুদ্ধ সম্পর্কে এই বিষয়টি অনেকেরই অজানা ছিল।
৫. চীন যখন ভারতকে আক্রমণ করে, তখন নাকি পাকিস্তানও ভারতকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিল! বিষয়টি নিয়ে একটা প্রশ্ন বহুদিন আগেই উঠেছিল। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরকে দখল করার জন্য তারাও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার পরিকল্পনা করেছিল।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর
বিডি প্রতিদিন/১০ জুলাই ২০১৭/ ই-জাহান