একজনকে সেনা বিদ্রোহের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে সময় পরিক্রমায় দ্বিতীয়জন হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ক্ষমতা হারানোর পর সেই প্রথমজনের সঙ্গেই একই কারাগারে থাকতে হচ্ছে দ্বিতীয়জনকেও।
পেরুর চির বৈরী দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্তা হুমালা এবং আলবার্তো ফুজিমোরি এখন একই কারাগারের বাসিন্দা।
ব্রাজিলের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগে ২০১১-১৬ মেয়াদে পেরুর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা হুমালাকে সস্ত্রীক বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
চূড়ান্ত রায় হওয়ার আগ পর্যন্ত হুমালা দম্পতিকে ১৮ মাসের 'প্রি-ট্রায়াল' আটকাদেশ দেয়া হয়। তাদের আইনজীবী কোলাহলপূর্ণ কারাগারের পরিবর্তে ভালো কারাগারের মক্কেলকে পাঠানোর আবেদন জানান।
এরপর দেশের ৬২তম প্রেসিডেন্ট স্বৈরাচরী ফুজিমোরির জন্য নির্মিত কারাগারেই তাদের পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে রাজধানী লিমার উপকণ্ঠে ওই কারাগারে হুমালা দম্পতিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ থকে ২০০০ সাল নাগাদ ক্ষমতায় থাকা ফুজিমোরি ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগে অনুগত সেনাদের নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন সেনা কর্মকর্তা হুমালা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে ২৫ বছরের কারাজীবন অতিবাহিত করছেন ফুজিমোরি।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জুলাই ২০১৭/আরাফাত