ভারতে ফের দেহব্যবসার ঘটনা প্রকাশ্যে এসে চাঞ্চল্য ছড়াল। ভারতের ছত্তিশগড় থেকে যুবতীদের বিহারে এনে জোর করে নাচ-গান ও সেই সঙ্গে দেহব্যবসার কাজে বাধ্য করার ঘটনা সামনে উঠে এসেছে। তবে শুধু ছত্তিশগড় বা বিহার নয়, এর জাল যে অনেকদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ছত্তিশগড়ে এমন এক চক্র সক্রিয় যারা ছত্তিশগড়ের মেয়েদের টার্গেট করে তাদের বিহারে তুলে এনে নাচে-গানে দক্ষ করে তোলে। তারপর তাদের দেহব্যবসার কাজে নামতেও বাধ্য করে। এইসব মেয়েদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিনিময়ে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে আনা হয়। আর এই প্রলোভনে পা দিয়েই এই দেহব্যবসার জালে জড়িয়ে পড়ে বহু যুবতী।
সম্প্রতি এমনই এক চক্রের হাত থেকে পালিয়ে আসে এক নির্যাতিতা। সে জানায়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাম করে তাকে বিহারের মালিয়াবাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে নাচ-গানের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়। পাশাপাশি তাকে দশ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। অনেক জায়গায় তাকে নিয়ে গিয়ে নাচ-গানও করানো হয় বলে জানায় সে।
এরপর সেই নির্যাতিতা আরও জানায়, নাচ-গানের সঙ্গে দেহব্যবসার কাজে নামবার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয় তার ওপর। মালিয়াবাগের তিনটি ফার্মহাউসে ৫০-এর বেশি মেয়ে রয়েছে। সব মেয়েদের ছোট ছোট কাপড় পরিয়ে অশ্লীল নাচের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখানে। এখানে ছত্তিশগড় ছাড়া ওডিশা, মহারাষ্ট্র থেকে অনেক মেয়েকে তুলে এনে আটকে রাখা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, এই চক্রের সঙ্গে অনেক স্থানীয় বাসিন্দারাও জড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমেই কম বয়সী মেয়েদের নিয়মিত খোঁজ পায় এই চক্র, আর সেখান থেকেই তারা বেরিয়ে পড়ে এই সব মেয়েদের খোঁজে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। পাশাপাশি দু’টি দল তৈরি করে নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে বিহারে রওনা দিয়েছে অভিযুক্তদের খোঁজে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ অক্টোবর, ২০১৭/ তাফসীর