বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার সফরের আগেই তাকে অনুরোধ করা হয় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করার জন্য। শেষ পর্যন্ত মিয়ানমার প্রশাসনের সেই অনুরোধেই সাড়া দিলেন পোপ ফ্রান্সিস।
মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকের পর পোপ ফ্রান্সিস দেশটির রাজধানী নেইপিদোতে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ এক বক্তৃতায় নির্দিষ্টভাবে রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ না করে পোপ 'প্রত্যেক নৃগোষ্ঠী'-এর প্রতি সম্মানের আহ্বান জানান। খবর বিবিসির।
সেই বক্তৃতায় পোপ ফ্রান্সিস বলেন, মিয়ানমারের প্রত্যেক নৃগোষ্ঠী ও তাদের পরিচয়ের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। আইনের প্রতি সম্মান এবং সর্বপরি গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান। যেগুলো মিয়ানমারে শান্তি নিয়ে আসবে।
তবে পোপ ফ্রান্সিস রাখাইনে জাতিগত নিধনের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও বলেছেন এ সংকট সমাধানে ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এদিকে সু চিও তার দেয়া ভাষণে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে রাখাইন সংকটের বিষয়টি প্রসঙ্গে
সু চি বলেন, রাখাইনে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দীর্ঘ সমস্যার কারণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারসাম্য ও সহযোগিতায় শিথিলতা এসেছে। তবে আমাদের বন্ধুদের সহায়তায় আমরা এগুলোর সমাধান করতে পারব।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর