নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজে বন্দুকধারীদের গুলিতে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চের সবচেয়ে বড় মসজিদ ডিন্স এভিনিউর আল নুর মসজিদে প্রথমে নৃশংস এ হামলা চালানো হয়। পরে আরেক মোটরসাইকেল আরোহী বন্দুকধারী পাশের লিনউড মসজিদে হামলা চালায়। হামলায় আহত অন্তত ৪৮ জন ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বর্বরোচিত এ সন্ত্রসী হামলায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন আল নূর মসজিদে এবং ৭ জন মারা গেছেন লিনউড মসজিদের ঘটনায়। তবে সাহসী এক তরুণ ত্রাতা না হলে নিহতের সংখ্যা হয়তো আরও বাড়তো। প্রবল সাহস দেখিয়ে হামলাকারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বন্দুক কেড়ে না নিলে সংখ্যাটা কোথায় ঠেকতো বলা মুশকিল।
হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া সৈয়দ মাজহারউদ্দিন নিউজিল্যান্ড হেলাল্ডকে বলছিলেন সাহসী ওই তরুণের কথা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নায়কোচিতভাবে আরও অনেককে বাঁচিয়ে উঠে এসেছেন সংবাদ শিরোনামে।
মাজহারউদ্দিন বলেন, যখন হামলাকারী মসজিদে ঢোকে তখন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন নামাজ আদায় করছিলেন। আচমকা ঢুকেই তিনি গুলি চালানো শুরু করেন। এসময় এক তরুণ লিনউড মসজিদের বন্দুকধারীর উপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার বন্দুক ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হন। কিন্তু হামলাকারী দ্রুত পালিয়ে বাইরে থাকা গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যান।
আল নূর মসজিদেও একজন হামলাকারীর বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়েছিলেন বলে জানান এক প্রত্যক্ষদর্শী। তবে ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গেই গুলি খেয়ে মরতে হয়।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড বলছে, ওই তরুণ সাধারণত মসজিদ দেখাশোনা করতেন। হামলাকারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বন্দুক কেড়ে নিতে সক্ষম হলেও ট্রিগার খুঁজে না পাওয়ায় পাল্টা হামলাকারীকে থামাতে পারেননি তিনি।
সৈয়দ মাজহারউদ্দিন হেরাল্ডকে বলেন, লিনউড মসজিদে যখন হামলা চালানো হয় তখন মুসল্লিরা প্রার্থনায় ব্যস্ত ছিলেন। আমার এক বন্ধু এতে মারা গেছে। আমি তাকে বাঁচাতে পারিনি।
সূত্র: স্কাই নিউজ
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ