পাকিস্তানের গোয়াদারের পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলটি আরব সাগরের তীরে বন্দর শহরে অবস্থিত। বহু পর্যটক নিত্যদিন ওই হোটেলে আসেন। গতকাল শনিবার বিকেলে জঙ্গি হামলার শিকার হয় হোটেলটি। আচমকাই হোটেলে ঢুকে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা।
হামলা চালানো তিন জঙ্গিকে নিহত করে পাকিস্তানি সেনা। একই সঙ্গে হোটেলে থাকা অধিকাংশ অতিথিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। জঙ্গিরা ছাড়া আরও একজন নিহত হয়েছে। নিহত সেই ব্যক্তি হোটেলের নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে কাজ করত। জঙ্গিদের হোটেলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার সময় তাদের গুলিতে প্রাণ হারায় সে।
পাঁচ তারকা হোটেলে হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তানের ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে গোয়াদারের হোটেলে হামলার কথা স্বীকার করে নেয়।
পাকিস্তানের অর্থনীতিতে চীনের প্রভাব মেনে নিতে পারেনি বিএলএ। সেই কারণেই এই হামলা চালান হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএলএ মুখপাত্র জিহান্দ বালোচ। তিনি জানান, “চীনা এবং অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারী থাকা ওই পিসি হোটেলে হামলা চালিয়েছে আমাদের যোদ্ধারা।”
গোয়াদার বন্দর শহর পাকিস্তানের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একটা বড় ভূমিকা রাখে। ইতিমধ্যেই গোয়াদারে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছিল চীন। সমগ্র বন্দর শহরের পরিবহণ এবং পরুকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বেইজিং। উত্তরের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের সঙ্গে গোয়াদার বন্দরকে যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে চীন। বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হলে তা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সেটিই চাইছে বেইজিং।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর