তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার জানান, তার দেশ এস-৪০০ বিমান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পেতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রতিশ্রুতি পালনের চেষ্টা করছে। এছাড়া মালাতিয়া প্রদেশের বিমান ঘাঁটিতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান রাখার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
শুক্রবার পশ্চিম মালাতিয়া প্রদেশে বিমানঘাঁটি সফরে গিয়ে এসব কথা বলেন দেশটির এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো জানান, এই দু'টি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে আমরা আমাদের নিজেদের শর্ত পরিপূর্ণ করার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং দায়িত্বশীলতা নিখুঁতভাবে পালন করছি।
আকার বলেন, আমরা এই এলাকায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের কার্যক্রম পরিচালনা করব। এ সময় তিনি ওই বিমানের কিছু যন্ত্রাংশ তুরস্ক তৈরি করছে বলে জানান।
তুরস্ক যখন রাশিয়া থেকে এস-৪০০ আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এটি ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে পরামর্শ দিয়েছিল এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার চেয়ে তাদের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনতে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক। আঙ্কারা বলেছে, প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ রাশিয়ার প্রস্তাবটি ভালো
এস ৪০০ একই সময়ে ৩৬টি লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এমনকি একই সময়ে ৭২টি মিসাইল ছুড়তে সক্ষম। এটি মাঝারি ও দূরপাল্লা আকাশ বিমান হামলা প্রতিরোধে সক্ষম। এস ৪০০তে রয়েছে অতিরিক্ত শনাক্তকারী রাডার, টাওয়ার ও এন্টোনা পোস্ট যা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেয়া যায়।
এর লক্ষ্যমাত্রা সর্বোচ্চ ৬০০ কিলোমিটার। যা মিসাইল শনাক্ত ও ধ্বংস করতে পারে ৫ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন