ভিনগ্রহী বা এলিয়েন নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে বিজ্ঞানী-গবেষকদের কৌতুহলের কোনও শেষ নেই। এ নিয়ে হলিউডেও কম ছবি তৈরি হয়নি। বলিউডও হয়েছে ‘কয়ি মিল গ্যায়া’র মতো ছবি। তবে বাস্তবে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব বা পৃথিবীতে ভিনগ্রহীদের আসা-যাওয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে, রয়েছে ধোঁয়াশাও। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন নৌ বাহিনীর তিনটি ‘গোপন’ ভিডিও ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ইউএফও নিয়ে ফের জোর চর্চা শুরু হয়েছে গোটা দুনিয়ায়।
ফাঁস হওয়া ভিডিও তিনটি বেশ পুরনো। মার্কিন নৌ বাহিনীর এফএ ১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানের রাডারে ধরা পড়ে একটি ইউএফও (আনআইডেনন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট)। বেশ কিছুক্ষণ পিছু নিয়ে এফএ ১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানের পাইলট ওই ইউএফও-র মোট তিনটি ভিডিও করতে পারেন। এতদিন এই তিনটি ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে কিছুই জানায়নি মার্কিন নৌ বাহিনী। তবে ভিডিওগুলো সামনে আসার পর সেগুলোর সত্যতা স্বীকার করে নেন ‘ডেপুটি চিফ অব নাভাল অপারেশনস’-এর মুখপাত্র জোসেফ গ্রেডিশার। একই সঙ্গে তিনি আক্ষেপের সঙ্গে জানান, ভিডিওগুলো প্রকাশ করা উচিত হয়নি।
ইউএফও সংক্রান্ত এই তিনটি ভিডিও ফুটেজের সত্যতা স্বীকার করে নিলেও সেগুলো কবে, কখন, কোথায় তোলা হয়েছিল, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি জোসেফ। শুধু জানিয়েছেন, মাটি থেকে প্রায় ২৫ হাজার ফুট উঁচুতে এই ভিডিওটি তোলা হয়েছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নাসার বিজ্ঞানী সিলভানো পি কলম্বানো বলেন, “এলিয়েনদের যে ছবি আমরা এত দিন দেখেছি বা কল্পনা করেছি, তার সঙ্গে এলিয়েনদের চেহারা হয়তো আদৌ মেলে না! তাই তারা পৃথিবীতে এসে ঘুরে গেলেও আমরা তাদের দেখতে পাইনি বা দেখেও চিনতে পারিনি।”
তার মতে, এলিয়েনরা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি বুদ্ধিমান।
তার ধারণা, তাদের আকার-আকৃতিও হয়তো অনেক সুক্ষ্ম বা এলিয়েনরা এমন কোনও উপাদানে তৈরি যা হয়তো মানুষ খালি চোখে দেখতে পায় না। এমনও হতে পারে যে, এলিয়েনদের দেখার মতো কোনও প্রযুক্তি হয়তো এখনও পর্যন্ত আবিষ্কারই হয়নি।
ভিডিও:
বিডি প্রতিদিন/কালাম