গণপিটুনি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেওয়ায় দেশের ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তা নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিলেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী।
মোদি সরকারের আমলে দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম হতে চলছে বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতে স্বৈরতন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাডেতে এক জনসভায় এসব কথা বলেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী বলেন, এই মুহূর্তে দেশে কী চলছে, সে ব্যাপারে প্রত্যেকেই অবগত। কোনো গোপনীয়তা নেই। এমনকি গোটা বিশ্বও জেনে গিয়েছে। ক্রমশ স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছি আমরা।’’
মোদি সরকার সমালোচনা শুনতে পারে না বলে উল্লেখ করে রাহুল গান্ধীর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বললে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললে, আজকাল জেলে পুরে দেওয়া হয়। পড়তে হয় হামলার মুখেও। গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমকেও।
তিনি আরও বলেন, এক দিকে ধারণা জন্মেছে যে, এক ব্যক্তি-ই দেশ শাসন করবেন। দেশে একটি মাত্র আদর্শই থাকবে। বাকিদের মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে হবে। আর অন্য দিকে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি এবং বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। দেশে এখন এই যুদ্ধই চলছে।’
দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, চিত্র পরিচালক মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনাগাল, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী অপর্ণা সেন-সহ মোট ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
তাতে বলা হয়, মুসলিম, দলিত এবং সংখ্যালঘুদের এভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ভিন্নমত থাকাটাও স্বাভাবিক বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তারা। তা নিয়েই গত বৃহস্পতিবার বিহারের মুজাফ্ফরপুরে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন