জরুরি আইন প্রয়োগে মুখোশ নিষিদ্ধ করে ফের একবার বিতর্কের মুখে হংকংয়ের প্রশাসনিক নেত্রী ক্যারি ল্যাম। তিন মাস ধরে চলা বিক্ষোভ থামাতে আজ শনিবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে হংকং প্রশাসন। মুখোশ নিষিদ্ধ করায় ফের হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
ল্যামের যুক্তি, বিক্ষোভের পরিবেশ যাতে আরও খারাপ না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু প্রশাসনিক তরফে ঘোষণা হতেই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মুখোশ পরেই রাস্তায় নামেন প্রতিবাদকারীরা।
ল্যামের দাবি, সপ্তাহান্তের বিক্ষোভ যে রকম হিংসাত্মক রূপ নিচ্ছে, তা রুখতে ঔপনিবেশিক আইন প্রয়োগ ছাড়া গতি ছিল না। ১৯২২ সালের জরুরি আইন অনুযায়ী, পার্ল্যামেন্টকে পাশ কাটিয়ে প্রশাসনিক নেতা বা নেত্রী সরাসরি কোনও আইন জারি করতে পারেন। কিন্তু পাঁচ দশকেরও বেশি সময় এই আইনের ব্যবহার হয়নি।
শনিবার থেকে যে নিষেধাজ্ঞা চালু হতে চলেছে, তাতে কোনও ধরনের মুখ ঢাকা সামগ্রীর ব্যবহার, এমনকি মুখে রংও মাখা চলবে না। তবে স্বাস্থ্য এবং কাজের কারণে যারা মাস্ক ব্যবহার করেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে। সব ধরনের সমাবেশ বা মিছিলের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য।
প্রসঙ্গত, প্রতিবাদকারীদের মধ্যে এ ধরনের মাস্ক বা ফেস পেন্টের ব্যবহার বাড়ছে। এর বড় কারণ, অফিসের বস, বাবা-মা বা পুলিশের থেকে নিজেদের পরিচয় গোপন করা, কখনও আবার পুলিশের কাঁদানে গ্যাস থেকে আত্মরক্ষা। সেটা বন্ধ করতেই ল্যামের এই প্রয়াস।
বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হলেও তা এখন হংকংয়ের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলিচালনার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মরিয়া হয়েই জরুরি আইন প্রয়োগ ল্যামের। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি বদলাবে নাকি আরও খারাপ হবে, তা সময়ই বলবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ