চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরার পদত্যাগের দাবিতে দেশটির ১০ লাখেরও বেশি মানুষ শুক্রবার রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বিক্ষোভকারীরা এসময় জাতীয় পতাকা বহন করে পিনেরার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল।
সম্প্রতি দেশটিতে মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রতিরোধে ৭২ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা। বিক্ষোভে নতুন করে সহিংসতার প্রমাণ মিললে জরুরি অবস্থা বহাল রাখা হবে বলেও তখন ঘোষণা দিয়েছেন চিলির প্রেসিডেন্ট। তবে, শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মেট্রোরেলের ভাড়া পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সেবাস্তিয়ান বলেন, একদিনের বিক্ষোভেই ছয় কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা এড়াতেই জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছিল, দফায় দফায় ভাড়া বাড়াচ্ছে সরকার। রাজধানী সান্তিয়াগোতে সব কিছুর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার শিগগিরই এর সমাধান না করলে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শুক্রবারের বিক্ষোভের পর সান্তিয়াগোর গভর্নর কার্লা রুবিলার টুইটারে দেয়া এক বার্তায় এটিকে ‘একটি ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে অভিহিত করে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশের প্রশংসা করেন এবং নতুন চিলির স্বপ্নের বর্ণনা দেন। রুবিলার বলেন, দেশব্যাপী ১০ লাখেরও বেশি লোক বিক্ষোভে অংশ নিতে রাজপথে নেমে আসে। ওদিকে শুক্রবারের বিক্ষোভ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হওয়ায় চিলির প্রেসিডেন্ট পিনেরা অনেক খুশি বলে টুইট করে জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার