দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশি তাণ্ডবের পর থেকেই নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে শাহিনবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন স্থানীয় মুসলিম নারীরা। সেখানে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ভিড়। মুসলিমদের পাশাপাশি যোগ দিতে থাকেন অন্য ধর্মের মানুষ। পুরুষ-নারী নির্বিশেষে।
বিক্ষোভের মাঝেই নতুন বছরকে বরণ করেছেন আন্দোলনকারীরা। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুকসানা বলেন, ‘‘নাচ-গান, আবৃত্তির মাধ্যমে নতুন বছরকে আহ্বানের পাশাপাশি এ হল গণতন্ত্র ও সংবিধানকে বাঁচানোর লড়াই।’’
রুকসানার সঙ্গেই গতকাল এখানে নববর্ষ পালনে আসেন তার বন্ধু আঁচল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী বলেন, ‘‘আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি মানা যায় না। তাই নতুন বছরের শুরুটা সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই করতে চাই।’’
নব্বই বছরের এক বৃদ্ধা ছিলেন শাহিনবাগের নতুন মুখ। দিল্লির প্রবল ঠান্ডা তাঁকে কাবু করতে পারেনি। ঠায় বসে রয়েছেন গত কয়েক দিনের মতোই। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘আমি ভারতীয় কি না, তার প্রমাণ কাউকে দিতে যাব কেন? এই দেশ আমার। মোদী ও তাঁর দলবল আসুক জানতে, আমি বুঝিয়ে দেব।’’
এদিকে শাহিনবাগের অবরোধে ব্যবসা লাটে উঠেছে স্থানীয় শপিং মলের দোকানদারদের। তবুও বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন ক্ষতি।
পার্টির বদলে প্রতিবাদ দিয়েই বর্ষবরণে মাতল রাজধানী। জামিয়া চত্বরে মশালের মতো জ্বলল সারি সারি মোবাইল। ইন্ডিয়া গেটের সামনে সমবেত জনতা বুধবার নতুন বছরে নাগরিকত্ব আইন রুখে দেওয়ার গণশপথ নেবে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/হিমেল