১১ জুলাই, ২০২০ ১৯:২৩

লাদাখ নিয়ে কৌশলী ভারত, চীনকে সরাতে ‘তাইওয়ান কার্ড’

অনলাইন ডেস্ক

লাদাখ নিয়ে কৌশলী ভারত, চীনকে সরাতে ‘তাইওয়ান কার্ড’

সীমান্তে চীন ও ভারতের সীমান্তরক্ষী

চার দিন আগে তিব্বতি ধর্মগুরু দালাইলামার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে কি চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে চাপে থাকা দিল্লি শি জিনপিং সরকারকে চটাতে চাইছে না?

কূটনীতিকদের মতে, এই মুহূর্তে চীনকে গালওয়ান উপত্যকা থেকে ফেরত পাঠানো ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনা সেনা ঘাঁটি ভেঙে দেওয়াই দিল্লির একমাত্র লক্ষ্য। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের (স্পেশ্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ) পুরনো সীমান্ত মেকানিজমটি চালু করা হয়েছে। চেষ্টা চলছে কোনো অশান্তি ছাড়াই লাদাখ সংলগ্ন সীমান্তকে এপ্রিল মাসের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এ অবস্থায় দালাইলামার সঙ্গে প্রকাশ্যে সখ্য দেখিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে নতুন করে বিরোধের দরজা খুলতে চাইছে না দিল্লি।

তবে তিব্বতের তাসটি আস্তিনে লুকিয়ে রাখলেও চীনের আরো এক দুর্বল স্নায়ুকেন্দ্র তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত স্তরে সম্পর্ক একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও ঢাকঢোল না-পিটিয়ে। 'এক চীন নীতি'-কে প্রকাশ্যে পদদলিত করে কিছু করার কথা আদৌ ভাবছে না মোদি সরকার।

সূত্রের খবর, এ বিষয়ে ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত হয়ে আসছেন তাইওয়ানের প্রবীণ কূটনীতিক বাউসুয়ান গের। গত সাত বছর ধরে নয়াদিল্লিতে এই পদে যিনি ছিলেন, সেই তেন চুং কুয়াং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছেন। 

কূটনৈতিক সূত্র মতে, তাইওয়ানের দিক থেকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারতের প্রতি বার্তা দেওয়া হল, সম্পর্ককে নতুন চেহারা দেওয়ার। বাউসুয়ান গের তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডিজি হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। আমেরিকা এবং ব্রিটেনেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ধারাবাহিক টানাপড়েনের মধ্যে তিনি বহু ক্ষেত্রেই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন।

তাইওয়ানের সংবাদ সংস্থায় সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অদূর ভবিষ্যতে তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রাধিকার হয়ে দাঁড়াবে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে নয়াদিল্লি তার নীতিতে তাইওয়ানকেও অন্তর্ভূক্ত করুক, এই দাবি সে দেশের বিভিন্ন স্তর থেকে ক্রমশ বাড়ছে। গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় রক্তপাতের পর খোলাখুলি চীনের সম্প্রসারণবাদের নিন্দা করেছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম। সূত্র: আনন্দবাজার।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর