মিয়ানমারে জেনারেলের ভাষণ অভ্যুত্থান বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ছবি দেখা গেছে জনগণ টিভি স্ক্রিনের সামনে থালাবাসন পিটিয়ে প্রতিবাদ করছেন।
সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) টানা তৃতীয় দিনের মতো বিপুল গণজমায়েতে বিক্ষোভ হয়। সরকারি অফিসে কর্মবিরতি পালন করেন অনেকে। বিক্ষোভ দমনে কিছু কিছু জায়গায় কারফিউসহ জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মিয়ানমারের সেনা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের ক্রসচিহ্নিত ছবি প্রদর্শন করে সেনাশাসন বিরোধীতা করেন বিক্ষোভকারীরা।
মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তাবিরোধী তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে নিজেদের পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই গাইলেন সেনা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সিনিয়র জেনারেল ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের আট দিন পর গতকাল সোমবার প্রথম টেলিভিশন ভাষণে জেনারেল মিন বললেন, ‘নভেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি'। সত্যিকারের এবং নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্র’ অর্জনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মিন অং হ্লাইংবলেন, 'তাঁর শাসনামল ২০১১ সাল পর্যন্ত চলা ৪৯ বছরের সামরিক নিয়ন্ত্রণের মতো হবে না'।
ভাষণে জেনারেল মিন অং হ্লাইং দমন পীড়নের ভয়ভীতি দেখানোর বদলে ক্ষমতা দখলের কারণ ব্যাখ্যার দিকে মনোযোগী ছিলেন। নাগরিকদের প্রতি ‘আবেগের বশবর্তী না হয়ে সত্য তথ্য-উপাত্ত দেখার আহ্বান’ জানান জেনারেল।
সবুজ রংয়ের সামরিক পোশাকে মিন অং হ্লাইং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনে বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে। সংস্কারকৃত একটি নির্বাচন কমিশন ওই ভোটের দেখভাল করবে।’
অন্যদিকে, কর্মবিরতি পালনকারী এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আজ আমরা পেশাজীবীরা, বিশেষ করে চিকিৎসক, সরকারি চাকুরিজীবী, প্রকৌশলী ও শিক্ষকেরা রাস্তায় নেমেছি এটা দেখাতে যে, আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং আমাদের লক্ষ্য একটাই, তা হলো স্বৈরাচারের পতন ঘটানো।’
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির