আটলান্টার তিনটি ম্যাসাজ পার্লার ও স্পাতে ছয় এশীয় নারীসহ আটজনকে গুলি করে খুন করেছিল ২১ বছরের শ্বেতাঙ্গ যুবক রবার্ট এ লং। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা নগরীতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
শনিবার (১৩ মার্চ) বর্ণবৈষম্য, বিদেশিদের প্রতি অসদাচরণ ও অবহেলার প্রতিবাদে শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান জর্জিয়া স্টেট ক্যাপিটলের পার্কে প্রতিবাদ মিছিল হয়। বিক্ষোভে যোগ দেন সিনেটর রাফায়েল ওয়ারনক, সিনেটর জন ওসফ এবং জর্জিয়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তা বি গুয়েন।
এদের মধ্যে গুয়েন প্রথম ভিয়েতনামি আমেরিকান, যিনি জর্জিয়া হাউসে কাজ করছেন। সিনেটর ওয়ারনক বলেন, ‘আমি আমার এশীয় ভাইবোনেদের বলতে চাই আমরা সবাই পাশে আছি। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি।’ এ সময়ে সমস্বরে সবাই ওয়ারনককে সমর্থন জানান।
জর্জিয়ার প্রশাসনিক কর্তা গুয়েন আরও বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধ রুখতে যা-ই করা হোক না কেন, যা-ই বলা হোক না কেন, আটকানো যাচ্ছে না কিছুতেই। এ ঘটনাটি বিশেষ করে, এশীয়দের ওপর হামলা ছাড়া কিছু নয়।'
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, ‘ভিনদেশিদের ঘৃণা করা ও জাতিবিদ্বেষের ঘটনাগুলোকে আমেরিকা আর মেনে নিতে পারে না।’
তদন্তকারীরা অর্থনৈতিক উদ্বেগ ও যৌন আসক্তিকে কারণ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু নিহতদের মধ্যে ছয়জনই এশীয় আমেরিকান নারী।
অনেকেরই দাবি, এ ঘটনার পেছনে জাতি ও নারীবিদ্বেষ কাজ করেছে। এই হত্যার প্রতিবাদেই আটলান্টার রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন নানা বয়সি, নানা জাতি-ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষ।
জর্জিয়ায় গত বছর বিদ্বেষমূলক অপরাধ রুখতে আইন করা হয়েছে। কোনো অপরাধের কারণ যদি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গভেদ, বিদেশি হওয়া বা যৌনতা, কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে অপরাধীকে অতিরিক্ত শাস্তি পেতে হবে।
কিন্তু আইন করেও এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের। আটলান্টার ঘটনাতেই যেমন অভিযোগ, অপরাধীকে মানসিক অসুস্থ বলে চালানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে তদন্ত এখনও চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির