শিরোনাম
১৭ মে, ২০২১ ১৪:৫৫

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প থেকে বেশি সুবিধা পাচ্ছে কে?

অনলাইন ডেস্ক

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প থেকে বেশি সুবিধা পাচ্ছে কে?

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হবে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে নির্মিত এ রেলপথ। ছবি- রয়টার্স

ধাক্কা খেয়েছে চীনের স্বপ্নের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)। বিভিন্ন দেশে পরিবহন, বিদ্যুৎ ও টেলিকম সেক্টরে তাদের ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন দেশ বেঁকে বসায় পরিস্থিতিটাই এখন চীনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে বসেছে। 

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে, বিআরআই হচ্ছে চীনের বৈশ্বিক উন্নয়ন কৌশল। ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের চারধারে আর্থিক উন্নয়নে চীন এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কিন্তু চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো মনে করে, বিআরআই-এর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় চীনা আধিপত্য বিস্তার। তাদের মতে, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের ৬৮টি দেশে অবকাঠামো অর্থায়নের এই উদ্যোগ আসলে বেইজিং-এর পররাষ্ট্রনীতি ও চীনের নিরাপত্তার স্বার্থকেই সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। 

চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত মনে করে, বৈশ্বিক উন্নয়ন নয়, বিআরআই প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় আমেরিকা ও ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় পাকিস্তানে চীনের আধিপত্য বিস্তার। তাদের বক্তব্য, অবকাঠোমা নির্মাণের নামে প্রকল্পগুলির জন্য বেশিরভাগ অর্থই যোগান দেয় চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। যেমন চায়না ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, দ্য এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক অফ চায়না, এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক অফ চায়না। অবকাঠামো উন্নয়নের নামে চীনের এই অর্থ কিন্তু মোটেই অনুদান নয়, ঋণ। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে চড়া সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। সুদের হারও ২ থেকে ৫ শতাংশের মতো ওঠানামা করে। অনেক সময়ে ঋণের শর্ত পূরণে দেশের সার্বভৌমত্বকে বাজি রাখতে হয়ে গ্রহীতা দেশগুলিকে। এমনকী, বেসরকারি সংস্থা ঋণ নিলেও চীনের কাছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রই থাকে দায়বদ্ধ। 

আশঙ্কা করা হয়েছিল, বহু ক্ষেত্রেই প্রকল্পের অর্থ ঠিকমতো ফেরত না আসার।  এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতা দেশগুলির সঙ্গে ঋণ দাতা দেশের সংঘাতেরও আশঙ্কা ছিল। এখন সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করে পাকিস্তানের সঙ্গেও কিন্তু চীনের অর্থ আদায় নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বহু ঋণগ্রহীতা দেশেই অবশ্য বিআরআই প্রকল্প নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছে। 


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর