পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আদালতের রায় উপেক্ষা করে বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এ মাসের শুরুতে লাহোর হাইকোর্ট নওয়াজপন্থী পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএলএন) প্রেসিডেন্ট শাহবাজকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেন। এর ভিত্তিতে ৬৯ বছর বয়সী শাহবাজ গত ৮ মে লন্ডন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বিমানবন্দরে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন সংস্থা (এফআইএ) তাঁকে আটকে দেয়।
এফআইএ জানায়, শাহবাজের নাম প্রভিশনাল ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন তালিকায় রয়েছে, যেটার কারণে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। শাহবাজকে ওই দিন দোহাগামী একটি বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়।গতকালের একটি সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদ অনুমোদন দেওয়ার পর শাহবাজের নাম বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ তালিকায় (ইসিএল) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোনো প্রমাণপত্র জমা দেননি। তা ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, শাহবাজ তাঁর ভাই নওয়াজের জামিনদার। অথচ নওয়াজকে ফেরত আনার চেষ্টা করার পরিবর্তে শাহবাজও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় আছেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ।
বিদেশ ভ্রমণে কালো তালিকাভুক্ত করার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে শাহবাজ আপিল করেছেন এবং চিকিৎসার জন্য একবার দেশে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন ক্যান্সার রোগী এবং নিউ ইয়র্ক ও লন্ডন থেকে চিকিৎসা করিয়েছি। আমি জেলে থাকার কারণে গত সাত মাস চিকিৎসা নিতে পারিনি।’
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ