বেলারুশে বিমান থেকে নামিয়ে সাংবাদিক আটকের ঘটনায় রাশিয়ার হাত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঙ্গেলা মার্কেল।
সংবাদ মাধ্যম ডয়চেভেলে'র বরাতে জানা যায়, রবিবার (২৩ মে) যুদ্ধবিমানের সাহায্যে একটি বিমানকে বেলারুশে নামিয়েছিল সে দেশের প্রশাসন। বোমাতঙ্কের কথা বলে বিমানটিকে রানওয়েতে নামানো হলেও পরে বোঝা যায়, প্রশাসনের উদ্দেশ্য অন্য। দেশের এক সরকারবিরোধী ব্লগার এবং সাংবাদিককে গ্রেফতার করার জন্যই ঐ কাজ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনার পরে বেলারুশের বিরুদ্ধে একের পর এক বিবৃতি দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব।
মঙ্গলবার (২৫ মে) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জরুরি সভা শেষ করে জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেন, এই ঘটনায় রাশিয়ার হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইইউর বৈঠকেও বিষয়টি উঠেছিল। এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। বস্তুত, ক্রেমলিনের সাহায্য ছাড়া বেলারুশ এত বড় একটি কাণ্ড ঘটাবে, এমনটা মনে করছেন না কূটনীতিকদের একাংশ। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে একই প্রশ্ন তুলেছেন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কেল অবশ্য বলেছেন, রাশিয়ার যুক্ত থাকার বিষয়টি আলোচনায় এলেও এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো তথ্য হাতে আসেনি।
এদিকে রাশিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে এই ঘটনায় তাদের বিন্দুমাত্র হাত নেই। একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোকে হিপোক্রিট বলে ব্যাখ্যা করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। তার বক্তব্য, ২০১৩ সালে বলিভিয়ার একটি বিমানকে ঠিক একইভাবে অস্ট্রিয়ায় নামানো হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল, ঐ বিমানে স্নোডেন আছেন। তখন কেউ ঘটনার নিন্দা করেনি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ