মার্কিন নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আফগান রাজধানীর বিমানবন্দরটিতে আবার হামলার আশঙ্কা করছে দেশটি।
হামলার আশঙ্কার তথ্য জানিয়ে একটি টুইট করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, "কাবুলে মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত নাজুক। বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি হামলা হতে পারে বলে আমাদের কমান্ডাররা ধারণা করছেন।"
এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক তালেবান মুখপাত্র জানান যে বিমানবন্দরের ক্ষমতা হস্তান্তরের কাজ চলছে। সেই মুখপাত্র বলেন, "আমরা মার্কিন সেনার কাছ থেকে বার্তার অপেক্ষায় আছি, যা পেলেই আমরা বিমানবন্দরের দায়িত্ব নেব।"
অন্যদিকে, কাবুল বিমানবন্দরে এখনও পশ্চিমা দেশের হাজার হাজার নাগরিক অপেক্ষা করছেন৷ তাদের সেখান থেকে ফেরত নেয়ার আগ পর্যন্ত মার্কিন সেনা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না, বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিমানবন্দর ঘিরে যত জল্পনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অস্ট্রেলিয়াও তার নাগরিকদের বিমানবন্দর ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে ও অন্যদের সেখানে না যেতে বলেছে।
অন্যদিকে, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য সোমবার জাতিসংঘের জরুরি বৈঠকে কাবুল বিমানবন্দরের ভেতর একটি 'নিরাপদ স্থান' বা 'সেইফ জোন' গঠনের আহ্বান করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, "আমাদের প্রস্তাব কাবুল বিমানবন্দরের ভেতর জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত সেইফ জোন গঠন করা, যাতে করে মানবিক কাজকর্ম ও ইভ্যাকুয়েশনের কাজে ব্যাঘাত না ঘটে।" সূত্র: ডয়চে ভেলে
বিডি প্রতিনিধি/আরাফাত