জাতিসংঘে কাশ্মীর বিরোধের অবসান চেয়ে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে গতকাল শুক্রবার ভাষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে ইমরানের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছে ভারত। তার বক্তব্যের বিভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে খোঁচার জবাব দিয়ে ভারতে তোলপাড় ফেলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে।
তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান হলো এমন একটি দেশ যারা নিজেরা আগুন লাগায় এবং তারপর আবার নিজেরাই দমকলকর্মী হয়ে সেই আগুন নেভাতে আসে। এই দেশটি বরাবরই জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় এবং লালন-পালন করে আসছে শুধুমাত্র একটি আশায়- জঙ্গি ও উগ্রপন্থিরা যেন প্রতিবেশী দেশসমূহে নাশকতা চালানোর মাধ্যমে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
শুক্রবার ইমরান খানের কাশ্মির নিয়ে খোঁচার জবাবে এভাবেই তোপ দাগেন স্নেহা দুবে। ইমরান খানের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যের পর তিনি দেশটির গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা ভাসছেন। স্নেহা দুবে বলেন, ‘ভারত একটি বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক দেশ এবং ভারত সরকারের অনেক উচ্চপদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা কাজ করছেন, যা পাকিস্তানে কল্পনাও করা যায় না।’
কাশ্মীর প্রসঙ্গে বক্তব্যের পর ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তুলোধনা করেন। স্নেহা বলেন, পাকিস্তান জাতিসংঘে ভারতের সম্পর্কে ভুল তথ্য বলে এর অপব্যবহার করছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরির জন্য ভারত নয়, পাকিস্তানকে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে।
এর আগে, ইমরান খান তার বক্তব্যে দাবি করেন, ‘ভারতে বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি-আরএসএস যেভাবে বিদ্বেষপূর্ণ হিন্দুত্ববাদ ছড়াচ্ছে, তা দেশটিতে বসবাসরত ২০ কোটি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে এবং দেশটির অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনগণের মধ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে।’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুস্তান টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক