প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের হাত ধরে গোটা বিশ্ব উন্নতির দিকে এগিয়ে চললেও এখনও বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে প্রচলিত আছে নানা ধরনের কুসংস্কার। এখনও নানা জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে মানা হয় হাজার হাজার বছরের প্রাচীন প্রথা ও রীতি। এসব প্রথা কেবল ভয়ঙ্করই নয়, অত্যন্ত বেদনাদায়কও। একেক জাতির মধ্যে একেক রকমের অদ্ভুত আচার-অনুষ্ঠান ও নিয়ম রয়েছে। শহরের মানুষ এই নিয়মগুলোকে কুসংস্কার মনে করলেও এই উপজাতিদের কাছে এগুলো মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরকমই একটি প্রথা বছরের পর বছর ধরে মেনে চলে আসছেন ইন্দোনেশিয়ার একটি উপজাতি। যারা দানি উপজাতি নামে পরিচিত।
তবে তাদের এই প্রথা এতটাই ভয়ঙ্কর যে আপনার গা শিউরে উঠবে। এখানে প্রিয়জনদের মৃত্যুতে নিজের আঙুল কেটে ফেলেন বাড়ির নারীরা। স্থানীয়ভাবে এই প্রথাকে ইকিপালিন বলা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি
হিস্ট্রি চ্যানেলের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়ার বামিন শহরে দানি উপজাতির প্রচুর সংখ্যক মানুষ বসবাস করেন। এই প্রজাতির ইকিপালিন প্রথার উপরে ইন্দোনেশিয়ার সরকার বহু বছর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু বয়স্ক নারীদের হাতের আঙুল দেখলেই বোঝা যায় এখনও এই রীতি পালন করা হয়।
এই রীতির পিছনে কারণ কী?
এই প্রজাতির মানুষরা বিশ্বাস করেন- প্রিয়জনদের কেউ মারা গেলে তার আত্মার শান্তির জন্য পরিবারের নারীরা নিজেদের আঙুল কেটে দেয়। পাশাপাশি এর মাধ্যমে বোঝানো হয় যিনি মারা গেছেন তার চলে যাওয়ার কষ্ট আঙুল কাটার কষ্টের কাছে কিছু না। আঙুল কাটার জন্য পাথরের তৈরি ব্লেড ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্লেড ছাড়াই আঙুলে শক্ত করে দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। এর ফলে যখন রক্ত ও অক্সিজেনের সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায় তখন আঙুল নিজে থেকে কেটে পড়ে যায় ৷ কেটে নেওয়া আঙুল হয় মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয় বা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সূত্র: দ্য সান, ডেইলি মেইল
বিডি প্রতিদিন/কালাম