ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেনে অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠানোর পাশাপাশি মানবিক সহায়তাও দিচ্ছে তারা। তবে কোনো দেশ ইউক্রেনে গিয়ে সরাসরি রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে রাজি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনো ইচ্ছা তার দেশের নেই। তবে ন্যাটোজোটভূক্ত কোনো দেশে রাশিয়া হামলা চালালে তা প্রতিহত করা হবে।’ এবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনও একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ন্যাটোর প্রতি যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। এরমধ্যে লিথুয়ানিয়া সফর করছেন ব্লিংকেন। বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত লিথুয়ানিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশ রাশিয়ার অভিযানের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। ব্লিংকেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও লিথুয়ানিয়া ইউক্রেনের পাশে আছে। ইউরোপে আরও ৭ হাজার সৈন্য পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ব্লিংকেন আরও বলেন, ‘আমরা ন্যাটো অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি ভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষাই লড়াই করবো।’
ন্যাটোর অঙ্গীকারপত্রের ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ন্যাটোভূক্ত এক দেশের ওপর হামলা মানে সব দেশের ওপর হামলা। সেই অঙ্গীকারের ওপরও জোর দেন ব্লিংকেন।
সূত্র : বিবিসি