বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী দেশ রাশিয়া তার পার্শ্ববর্তী দেশ ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করেছে এটা পুরনো খবর। সেনা অভিযানের পর থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আমেরিকা ও ন্যাটোর কাছে যুদ্ধ বিমান চেয়েছে। তবে, আকুল আবেদনের পরও আমেরিকা ও ন্যাটো বারবার জেলেনস্কির আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। এবার বিষয়টি নাকচ করার কারণ জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সংবাদ মাধ্যম সিএনএন ও সিএনবিসি নিউজের পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিমান না দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন রাশিয়ার সেনা বাহিনীকে মোকাবিলায় ইউক্রেনের যুদ্ধবিমানের চেয়ে ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বেশি দরকার। ফলে যুদ্ধ বিমান না পাঠিয়ে দেশটিকে ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ব্যাপারে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, রাশিয়ার দক্ষ বিমানবাহিনীকে পাল্টা আঘাত করতে ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুঁজে পেয়েছে ইউক্রেন। আমরা আমাদের ইউক্রেনীয় মিত্রদের ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখব। রাশিয়ান রকেট ও আর্টিলারি থেকে আসা গোলার হুমকি মোকাবিলায় এসব অস্ত্র তাদের দরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ইউক্রেনের নিজস্ব ‘সম্পূর্ণ মিশনে সক্ষম’ বিমানের ‘বেশ কয়েকটি স্কোয়াড্রন’ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এসব সামরিক সরঞ্জাম আরও পাঠানো মানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘিয়ে আগুন ঢেলে দেওয়া। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সংঘাত বন্ধে এবং সংঘাত যাতে আর না ছড়িয়ে যায়, সে জন্য আমরা যা করতে পারি এবং যা করা দরকার, তা করাটা আমাদের দায়িত্ব।’
আর এসব কারণেই মার্কিন ঘাঁটি ব্যবহার করে ইউক্রেনে মিগ যুদ্ধবিমান পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত বৃহস্পতিবার এই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।
অবশ্য রাশিয়ার সেনা অভিযানের শুরু থেকেই ইউক্রেনের বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী ও রুশ হামলার বিরুদ্ধে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পশ্চিমা নেতাদের কাছে যুদ্ধবিমান পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে আসছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। যদিও পোল্যান্ড দেশটিকে সোভিয়েত আমলের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে আমেরিকা সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর