সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে এই অভিযান শুরু হয়। এরই মধ্যে শনিবার ১৭তম দিনে গড়িয়েছে এই অভিযান। বিগত ১৬ দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়ে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনে রাশিয়ার এই সামরিক অভিযান নিয়ে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি করেছে ইউক্রেন। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সেখানে সম্ভ্যাব্য যুদ্ধাপরোদের অভিযোগ করেছে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগও উত্থাপন করেছে ইউক্রেন।
জেনে নিন যুদ্ধাপরাধ বলতে কী বুঝায়?
বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা করা যাবে না- এমনকি এমন কোনও অবকাঠামোতেও হামলা করা যাবে না যা তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য।
কিছু অস্ত্রও নিষিদ্ধ, কারণ এসব অস্ত্র ব্যবহার করলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ডমাইন, কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল অস্ত্র।
অসুস্থ বা আহতকে অবশ্যই সেবা দিতে হবে। এর মধ্যে অসুস্থ সেনারাও থাকবেন, যাদের যুদ্ধবন্দী হিসেবে অধিকার হবে।
আরও কিছু আইন আছে যেগুলোতে নির্যাতন বা একটি গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতে চালানো গণহত্যাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের কী কী অভিযোগ আছে
ইউক্রেন বলছে, শিশু ও প্রসূতি হাসপাতালে রাশিয়া যে হামলা চালিয়েছে তা যুদ্ধাপরাধ। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। আর হাসপাতালের ১৭ জন কর্মী ও রোগী আহত হয়েছে।
এছাড়া রাশিয়ান সৈন্যরা পলায়নরত ইউক্রেনিয়ান বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে- এমন খবরও পাওয়া গেছে।
এছাড়া খারকিভ শহরে বেসামরিক এলাকায় ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপেরও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
তবে ইউক্রেন বা রাশিয়া কেউ এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষর করেনি। তা সত্ত্বেও এসব ঘটনাগুলো যুদ্ধাপরাধ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে রাশিয়া ভ্যাকিউম বা থারমোব্যারিক বোমা ব্যবহার করেছে। বলা হয়, বিস্ফোরক দিয়ে তৈরি বোমার চেয়েও মারাত্মক বিধ্বংসী এই ভ্যাকিউম বোমা।
এই বোমা দুই ধাপে কাজ করে। প্রথম ধাপের বিস্ফোরণে মেঘের মতো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে জ্বালানি তেল।দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে, এই জ্বালানি তেলের মেঘ আবার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের গোলার মতো তৈরি হয়, বড় ধরনের শক ওয়েভ বা শব্দ তরঙ্গের ধাক্কা তৈরি করে এবং আশপাশের সব অক্সিজেন শুষে নেয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/কালাম