নানা নাটকীয়তার পর পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর গুলির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে আটক হওয়া বন্দুকধারীকে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইমরানের অভিযোগ সত্বেও এই মামলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসিরের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণে পুলিশের করা ওই মামলাকে ‘উপহাস’ বলে আখ্যায়িত করেছেন পিটিআই নেতারা।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, হামলার চার দিন পার হয়ে গেলেও কোনো মামলা দায়ের করেনি পিটিআই। এর পরিবর্তে সরকার ও সেনাবাহিনীকে দায়ী করে একের পর এক বক্তব্য দিয়েছে দলটির নেতারা। পিটিআই’র অভিযোগ ছিল, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (আইএসআই)-এর মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছে না পাঞ্জাব পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে ৫ বিচারকের বেঞ্চ ইমরানের ওপর হামলা নিয়ে মামলার নির্দেশ দেয়। পাঞ্জাব পুলিশের আইজি ফয়সাল শাহকারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই মোতাবেক গুলির ঘটনায় মামলা করলো পুলিশ।
তবে পিটিআই নেতারা ভিন্ন ভিন্ন বার্তায় এই মামলা প্রত্যাখ্যান করেছেন। দলটির নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, এই মামলা এক টুকরা কাগজ ছাড়া আর কিছুই না। এতে যদি ইমরান খানের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম না থাকে, তাহলে এর কোনো মূল্য নেই। পিটিআই তখনই মামলা মেনে নেবে যখন, মামলায় ওই তিন ব্যক্তির নাম থাকবে। পিটিআই’র আরেক নেতা শিরিন মাজারি টুইটারে লেখেন, এই মামলার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাধর তিন ব্যক্তিকে পুরোপুরি সুরক্ষিত করা হলো।
জিও টিভির খবর অনুসারে, ওয়াজিরাবাদ থানায় ইমরান খানের ওপর গুলির ঘটনায় সাব-ইন্সপেক্টর আমির শাহজাদের করা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে আটক হওয়া নাভিদকে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৩০২, ৩২৪, ৪৪০ ধারা এবং সন্ত্রাসবাদ আইনে মামলা হয়। মামলায় একজন নিহত এবং ১১ জন আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার এই মামলা আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হবে। এরপর এটিকে প্রকাশ্যে আনা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল