ইরানের ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির বাড়িতে সরকারবিরোধীরা অগ্নিসংযোগ করেছে। খোমেনির বাড়িতে আগুন লাগানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার(১৮ নভেম্বর) খোমেনির বাড়িতে আগুন লাগানোর ছবি এবং ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, পশ্চিম মারকাজি প্রদেশের খোমেইন শহরের এই বাড়িটিতে আগুন জ্বলছে। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা ওই বড়ির সামনে উল্লাস করছে। খোমেইন শহরের এই বাড়িতেই জন্মেছিলেন খোমেনি। শহরের নাম থেকেই তার উপাধি খোমেনি হয় । পরে বাড়িটি জাদুঘরে পরিণত করা হয়। তবে আগুন লাগানোর এই ভিডিও স্বাধীন ভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
তবে খোমেনির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম বলেছে, প্রতিবেদনটি মিথ্যা। মহান বিপ্লবের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতার বাড়ির দরজা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। খোমেনির বাড়ির বাইরে অল্প সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে খোমেনির মৃত্যুর পর তার বাড়িটি জাদুঘরে পরিণত করা হয়। গত সেপ্টেম্বরের দিকে হিজাব না পরার কারণে ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর মারা যান ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি নামের এক তরুণী। এরপরই ইরানজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
সৈয়দ রুহুল্লাহ মুসাবী খোমেনি যিনি পশ্চিমা বিশ্বে আয়াতুল্লাহ খোমেনি হিসেবে পরিচিত। তিনি ছিলেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের নেতা যার ফলশ্রুতিতে ইরানের সর্বশেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভী ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ২৫০০ বছরের পুরনো পারসিক রাজতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটে।
বিপ্লবের পর খোমেনি ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সংবিধান মোতাবেক জাতির সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব বহনকারী সর্বোচ্চ নেতার পদে অধিষ্ঠিত হন এবং আমৃত্যু এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯ সালের ৪ জুন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার স্থলাভিষিক্ত হন।
সূত্র- বিবিসি, আল জাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ