আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে চলমান ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ এক বছর পূর্ণ হবে। যুদ্ধের এই পর্যায়ে গত কয়েক দিন ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। এরই মধ্যে দেশটিতে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের বৃহত্তম তেল শোধনাগারেও হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে অভিযোগ করেছে কিয়েভ।
শুক্রবার ভাড়াটে যোদ্ধা গোষ্ঠীর প্রধান জানিয়েছেন, দীর্ঘ-অবরুদ্ধ শহর বাখমুত শহর আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মুক্ত হবে।
ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র বা কূটনৈতিক লাভের পরে ভারি বোমাবর্ষণের প্যাটার্ন অনুসরণ করে, রাশিয়া ভোরে ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিমান হামলার সাইরেন শুরু করে এবং ক্রেমেনচুক শোধনাগারসহ ইউক্রেন বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে, যেখানে ক্ষতির পরিমাণ অস্পষ্ট ছিল। তবে এর মধ্যে ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামানো হয়েছে বলে বিমান বাহিনী দাবি করেছে।
রাশিয়ার বর্তমান মনোযোগ ডোনেটস্কের ছোট শহর বাখমুতের দিকে, যেটি ইউক্রেনের শিল্প কেন্দ্রস্থল দোনবাসের অংশ এবং এখন আংশিকভাবে রাশিয়ার দখলে। বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়াকে আরও পশ্চিমের দুটি বড় শহর ক্রামতোর্স্ক এবং স্লোভিয়ানস্ক অগ্রসর হওয়ার জন্য অতিরিক্ত সুবিধা দেবে।
এদিকে, যুদ্ধপন্থী সামরিক ব্লগারের সঙ্গে একটি সাক্ষাতকারে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, বাখমুত এপ্রিলের মধ্যে মুক্ত হবে। ‘বাখমুত নিতে হলে আপনাকে সমস্ত সরবরাহ রুট কেটে ফেলতে হবে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য কাজ,’ তিনি বলেন, ‘আমরা যতটা চাই তত দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে না। বেসামরিকদের বাঁচানোর বিষয় না থাকলে, নতুন বছরের আগেই বাখমুত নেওয়া যেত।’
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অস্থায়ীভাবে অধিকৃত অঞ্চলগুলোর পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বেসামরিক নাগরিকদেরকে বাখমুত (আর্টিওমভস্কের ইউক্রেনীয় নাম) থেকে অবিলম্বে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘আমি বেসামরিক নাগরিকদের কাছে আবেদন করছি যারা এখনো বাখমুতে আছেন: আপনাকে অবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে,’ তিনি শুক্রবার তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন। সূত্র: তাস
বিডি প্রতিদিন/কালাম