গ্রিসে দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার জিতলেন প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস। এবার পার্লামেন্টে নিরাপদ গরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেলেন কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস।
রবিবার পার্লামেন্টের ভোট হয়। তারপর ৯৫ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়ে গেছে। মিৎসোতাকিসের নেতৃত্বে রক্ষণশীল নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি দাবি করেছে, তারা ৪০ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সরকার গঠন করা নিয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই।
মিৎসোতাকিস জানিয়েছেন, ''এরপর সংস্কার কর্মসূচি রূপায়ণে কোনো বাধা থাকলো না। অন্য কোনো দলের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হবে না। মানুষ আমাদের নিরাপদ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে।''
দলের সদরদপ্তরের বাইরে সমর্থকদের মিৎসোতাকিস বলেছেন, ''এবার দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধি হবে।'' ম্যাকেঞ্জির সাবেক পরামর্শদাতা ৫৫ বছর বয়সি এই নেতার দাবি, ''সকলের পারিশ্রমিক বাড়বে।''
এখন যা অবস্থা তাতে ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে মিৎসোতাকিসের দল পাবে ১৫৭টি আসন। গ্রিসের আইন অনুসারে, পরপর নির্বাচন হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ৫০টি আসন বেশি পাবে। মাস দুয়েক আগের নির্বাচনে মিৎসোতাকিস সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে পাঁচটি আসন কম পেয়েছিলেন। তিনি তাই আবার নির্বাচনের পথে হাঁটেন।
রবিবার ৩২টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়। ৯৮ লাখ ভোটদাতা ভোট দিয়েছিলেন। চরম বামপন্থিদের জোট ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। মে মাসের নির্বাচনের তুলনায় তাদের ফল খারাপ হয়েছে।
কমিউনিস্ট পার্টি পেয়েছে সাত শতাংশ, অতি জাতীয়তাবাদী স্পার্টার্ন পেয়েছে ৫ শতাংশ। পিএএসওকে পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট।
গত ১৪ জুনের গ্রিসের সমুদ্রতটের কাছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকা ভেঙে কয়েকশ মানপষের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভোট হয়েছে।
সমীক্ষা জানিয়েছিল, ২০১৯ থেকে প্রধানমন্ত্রী থাকা মিৎসোতাকিসের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাদের সেই কথা মিলে গেল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত