যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে সৌদি আরব ও ইসরায়েল ঐতিহাসিক চুক্তির রূপরেখা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
কয়েক দশকের শত্রুতামূলক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি প্রণয়নে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, সব পক্ষই তৎপর রয়েছে। আমি মনে করি, একটি মৌলিক কাঠামো তৈরিতে আমরা সক্ষম হবো।তিনি আরো বলেছেন, কিন্তু যে কোন জটিল ব্যবস্থার মতো, অবশ্যম্ভাবীভাবে যা হবে, এতে প্রত্যেককে কিছু না কিছু করতে হবে। প্রত্যেককে কিছু বিষয়ে আপোষও করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোর পর তার মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র ইসরায়েল ও সৌদি আরবকে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি উভয় দেশের আরো কাছাকাছি হওয়ার কথা বলেছেন। একই কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে, সৌদি আরব ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে চুক্তিসহ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে।
তবে ফিলিস্তিন সতর্ক করে বলেছে, ‘দুই রাষ্ট্র’ নীতির সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে কোন শান্তি আসবে না।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনের বছর ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সৌদি আরবের স্বীকৃতির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক বিজয় অর্জন করতে চান বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
সূত্র : ব্যারন্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত