ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল আহলি হাসপাতালে মঙ্গলবার ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫০০ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আরো বহু সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছে ও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী বইছে নিন্দার ঝড়। বাতিল হয়েছে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে বাইডেনের সঙ্গে আরব নেতাদের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক। ওই বৈঠকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসির অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, হাসপাতালে ভয়াবহ ওই হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা এ ঘটনার জন্য ফিলিস্তিনের আরেক প্রতিরোধ গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদকে দায়ী করেছে। তাদের দাবি, ইসলামিক জিহাদের নিক্ষেপ করা রকেট ভুলক্রমে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ওই হাসপাতালে গিয়ে পড়েছে।
তবে ইসরায়েলের এই দায় এড়ানোর প্রচেষ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে এলো নতুন তথ্য।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয়াবহ বোমা হামলার চার দিন আগে সতর্কতা জারি করে ওই হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বুধবার গাজার কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। তারা বলেন, চার দিন আগে ইসরায়েলের দুটি গোলা আঘাত হেনেছিল আল আহলি নামের ওই হাসপাতালে। এরপর ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেটি খালি করতে বলেছিল।
গাজার উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউসুফ আবু আল-রিশ বলেছেন, গত শনিবার ওই হাসপাতালে দুটি ইসরায়েলি গোলা আঘাত হানে।
এর পরের দিন ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ডা. মাহের আয়াদের সাথে যোগাযোগ করে এবং হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দেয়।
ইউসুফ আবু আল-রিশ বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আয়াদকে বলেছিল গোলার আঘাত সতর্কতা ছিল মাত্র। আপনি কেন এখনো হাসপাতালটি খালি করেননি। সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/আজাদ