গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার ব্যুরো প্রধানের পুরো পরিবার।
সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর সতর্ক বার্তার কারণে ওয়ায়েল আল-দাহদুহ তার পরিবারকে নিয়ে মধ্য গাজার নুসিরাত ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। সেখানেই হামলা চালায় ইসরায়েল।
মঙ্গলবার গভীর রাতের বিমান হামলায় আল-দাহদুহের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নাতি নিহত হন।ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, একই হামলায় আরো ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে নিহত হয়েছেন কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি।
আল-দাহদুহের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল। আলজাজিরায় প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আপনজনদের মৃতদেহ দেইর আল-বালার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের মর্গে দেখে কাঁদছেন আল-দাহদুহ।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার পথে আলজাজিরাকে তিনি বলেন, যা ঘটেছে তা পরিষ্কার। শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে সিরিজ হামলা এটি। আমি ইয়ারমুক থেকে এ ধরনের একটি হামলার বিষয়ে প্রতিবেদন করছিলাম। ওই সময় নুসিরাতসহ অনেক এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালায় ইসরায়েল।
আরো বলেন, আমাদের সন্দেহ ছিল যে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এ লোকদের শাস্তি না দিয়ে যেতে দেবে না। দখলদার সেনারা এলাকাটিকে ‘নিরাপদ’ বললেও দুঃখজনকভাব তাই ঘটেছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় নিহতদের মধ্যে ২২ জনেরও বেশি সাংবাদিক রয়েছেন।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আলজাজিরা। এদিকে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোস্ট, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/আজাদ